প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বর্তমানে শব্দদূষণ একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বিভাগীয় জেলা, উপজেলা শহরে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দদূষণ। শব্দদূষণের ফলে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হওয়াসহ শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বয়স্ক রোগী ও হৃদরোগীদের জন্য মারাত্নক স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী আইন প্রয়োগ বলবৎ রয়েছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম (প্রশিক্ষণ, ক্যাম্পেইন ও প্রচারণা) পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও শব্দদূষণের মাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করার সাথে সাথে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগও করতে হবে। এলক্ষ্যে অদ্য ৩০ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. তারিখ রোজ বুধবার “শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” এর আওতায় “আন্তর্জাতি শব্দ সচেনতা দিবস ২০২৫”উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর, জামালপুর জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন, জামালপুর এর যৌথ উদ্যোগে জামালপুর জেলার ডাকপাড়া রেলক্রসিং মোর সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টে যানবাহনে অনুমোদিত শব্দের অতিরিক্ত মানমাত্রার হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারের অভিযোগে ৫ টি গাড়ি থেকে মোট ১৩ টি হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করা হয় এবং ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। জামালপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তানিয়া তাসকিন তানি মোবাইল কোর্টের বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট এ, কে, এম, ছামিউল আলম কুরসি প্রসিকিউশন প্রদান করেন। এছাড়াও এ দপ্তরের হিসাবরক্ষক ইসতিয়াক আহম্মেদ সহ অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শব্দ দূষণের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে গাড়ীচালক ও জনসাধারণকে সচেতন করা হয়। পুলিশ সদস্যবৃন্দ মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরণের অভিযান/মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
স্বাক্ষরিত
এ, কে, এম, ছামিউল আলম কুরসি
সিনিয়র কেমিস্ট
পরিবেশ অধিদপ্তর,
জামালপুর জেলা কার্যালয়
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস